সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক | তাং ২ নভেম্বর ২০২৫ খ্রী.
জামালপুরে ৫ দফা দাবী মেনে নেওয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চালকরা ১০ ঘণ্টা পর তাদের ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সাথে এক সভায় দাবীগুলো মেনে নেওয়া হলে চালকরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এর আগে সকাল ৬টা থেকে ইজিবাইক ও রিক্সা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে পূর্ব ঘোষিত ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু হয়।

দুপুরে শহরের গেইটপাড় এলাকা থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়ে প্রধান সড়ক অবরোধ ও প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করেন।
পরে অটোরিক্সা চালকদের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের সাথে বৈঠক করেন। এক ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠক শেষে জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক মৌসুমী খানম সাংবাদিকদের জানান, অটোরিক্সা চালকদের দাবীগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পৌর প্রশাসক মৌসুমী খানম, লাইসেন্স ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম, ইজিবাইক ও রিক্সা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষে শাহ ফতেহ উল্লাহ হামেদী, খাইরুল ইসলাম, রুকন মিয়া, মেহের উদ্দিন ও চান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
শাহ ফতেহ উল্লাহ হামেদী বলেন, “দাবী মেনে নেওয়ায় আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি। আমরা সন্তুষ্ট, এখন থেকে আগের মতোই অটোরিক্সা চলবে।”
পৌর প্রশাসক মৌসুমী খানম বলেন, “আমরা চাই পৌর শহরের যানজট নিরসনের পাশাপাশি ইজিবাইক ও অটোরিক্সা শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষাও হোক।”

সভায় সিদ্ধান্ত হয়—
পৌরসভা থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অটোরিক্সা শহরের বাইরে যেতে পারবে না এবং বাইরের কোনো অটোরিক্সা শহরে প্রবেশ করতে পারবে না।

প্রতিটি অটোরিক্সার ডান পাশ বেরিয়ার দিয়ে বন্ধ রাখতে হবে, যেন যাত্রী উঠানামা নিরাপদে হয়।
ইজিবাইকের লাইসেন্স ফি ৩ হাজার টাকা ও ছোট অটোরিক্সার ফি ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সব যানবাহন লাল ও সবুজ রঙে চিহ্নিত থাকবে এবং রঙবিহীন কোনো যান চলবে না।
নতুন লাইসেন্স দেওয়া হবে না।
অবৈধ যান চললে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
দাবী মেনে নেওয়ায় বিকেল ৪টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন অটোরিক্সা মালিক, চালক ও শ্রমিকরা। ফলে প্রায় ১০ ঘণ্টা স্থবির থাকার পর স্বাভাবিক হয় শহরের যানবাহন চলাচল।